আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইইউ’র পর্যবেক্ষক আসা না আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যবেক্ষক কি ইউরোপের দেশগুলোর নির্বাচনে যায়? তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনে ইউরোপের পর্যবেক্ষক আসা না আসা নিয়ে এত কথা কেন। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না, এতে কিছুই আসে যায় না।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যেসব নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না, এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করলো, কে করলো না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই। না আসলেও কোনো অসুবিধা নেই। নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।
সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হয় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তখন কি সেখানে যায়? ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয়, সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।’
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবেও বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউয়ের পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক- আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।