নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, তার মধ্যেও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতার মধ্যে যাতে থাকে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তার জন্য যা যা করণীয় সেটা আমরা করবো।
প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারি থেকে ঘুরে না দাঁড়াতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ঝড়ঝাপ্টা এগুলো আমাদের আছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, এগুলো আমাদের সবসময় মোকাবিলা করতে হয়, করতে হবে। সেটা আমরা করতে পারবো। যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, জনগণই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে, আমাদের চিন্তার কিছু নেই।
জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সেই জনগণকে কাজে লাগাতে হবে। যেভাবে আমরা করোনা মোকবিলা করেছি, ঠিক সেই একইভাবে যুদ্ধের সময় যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যে ভয়াবহতা দেখা দিচ্ছে এটা থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তত যে অর্জনটা আমরা করেছি, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, এই মর্যাদাটা ধরে রেখে বাস্তবায়ন করে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। যাতে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্টদের আবারও স্পষ্ট নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের যে প্রকল্পগুলো আমরা হাতে নিচ্ছি, প্রত্যেকটা প্রকল্প গ্রহণের আগে আমাদের কাছে অনেক ধরনের প্রস্তাব আসে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেখানে আমাদের যেটা করতে হবে, কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে আমার দেশের মানুষের উপকার হবে, তার থেকে আমরা কিছু অর্জন করতে পারবো সেটা দেখতে হবে। অহেতুক একটা প্রকল্প নিয়ে অনেকগুলো টাকা পেলাম দেখে সেখানে ঝাঁপ দেওয়ার দরকার নেই।
প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে প্রকল্প থেকে রিটার্ন আসবে, আমরা কিছু আহরণ করতে পারবো, দেশের উন্নয়নে লাগাতে পারবো, উন্নয়নের কাজে লাগবে, সে ধরনের প্রকল্পই আমরা গ্রহণ করবো।