হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী রথিন্দ্র রায় (৬৫) দীর্ঘ ৯ মাস ধরে ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও কোনো সমাধান মিলছে না। এমনকি কী কারণে তার ভাতা বন্ধ রয়েছে তাও জানেন না কেউ।
জানা যায়, ছোটবেলা একটি দুর্ঘটনায় পড়ে একটি হাত পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রথিন্দ্র রায়ের। এরপর চিকিৎসা করেও হাত আর জোড়া লাগাতে পারেননি তিনি। বর্তমানে একটি হাতের সাহায্য নিয়ে চলছেন তিনি। এ অবস্থায় কয়েক বছর আগে শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পান তিনি। নিয়মিত ভাতার টাকা পেয়েছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু গত ৯ মাস আগে হঠাৎ করে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা না আসায় পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন রথিন্দ্র।
রথিন্দ্র রায় বলেন, ৯ মাস ধরে আমার ভাতার টাকা আসা বন্ধ রয়েছে। কী কারণে এমনটা হয়েছে বুঝতে পারছি না। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে গেলে তারাও সঠিক জবাব দিচ্ছেন না। আমার কথার কোনো কর্ণপাতই জনপ্রতিনিধিরা করছেন না। এক হাত নিয়ে লাকড়ি কাটার মতো কঠিন কাজের মাধ্যমে দিনমজুরি করে বৃদ্ধ বয়সে ৪ সদস্যের পরিবার চালাচ্ছি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, রথিন্দ্র রায়কে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখছি। অবিরাম জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক পুরুষ তিনি। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে প্রতিনিয়ত বেঁচে আছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সফি মিয়া বলেন, গত ৪ মাস আগে রথিন্দ্র রায়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি জানিয়েছিলেন ভাতা পাচ্ছেন। যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে খোঁজ নিয়ে দেখবো।
নবীগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এরকম হওয়ার কথা না। তবে অফিসে এসে যোগাযোগ করলে তথ্য দেখে বোঝা যাবে উনি কেন ভাতা পাচ্ছেন না, কী সমস্যা রয়েছে।