বকেয়া পরিশোধ, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিতকরণসহ সাত দফা দাবিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী বাগানের শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রোকনপুর বাজার এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের সাত দফা দাবির মধ্যে আছে- বকেয়া মজুরি পরিশোধ, বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্যত তহবিলের বকেয়া টাকা, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিতের দাবি।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ জন শ্রমিকের ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের এরিয়া বিল বাবদ বকেয়া ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, এরিয়া বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্যত তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিক পক্ষ পরিশোধ করছে না। এ ছাড়া ভগ্ন-জীর্ণ বাসস্থানের কারণে চা শ্রমিকদের রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত তারা।
শ্রমিকরা বলছেন, তাদেরকে ন্যূনতম সহযোগিতা করছে না মালিকপক্ষ। যে কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভ্যালির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভাশিষ দাশ বলেন, ‘চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রথমে বাগান কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে আমরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাই। কিন্তু দাবি না মানায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। অচিরেই যদি দাবি না মানা হয় তা হলে আরও বৃহৎ আন্দোলনে যাবো।’
বাওয়ানি চা বাগানের সভাপতি গোপেন ঝড়া জানান, ‘আমরা তো এদেশের নাগরিক। তা হলে কেন আমরা আমাদের ন্যায্য মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাব না। আমাদের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব।’
ইমাম ও বাওয়ানি বাগানের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, ;বাগানটি টিকিয়ে রাখার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বার বার আলোচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, এখানে মালিক পক্ষের গাফিলতি রয়েছে। যে কারণে বিষয়টি সমাধান হচ্ছে না।