হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কৃষি অফিসের অধীনে থাকা পরিত্যক্ত একটি ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১৬টি গাছ কেটে ফেলেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে উপজেলাজুড়ে।
গাছ কাটার ফলে ধ্বংস হয়েছে চারপাশের পরিবেশ। ধ্বংস করা হয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ। গাছগুলো কেটে রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। গাছগুলো অনিরাপদ অবস্থায় থাকার ফলে সরকারি এসব সম্পদ চুরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত পরিত্যক্ত পশু হাসপাতালের পাশের কৃষি অফিসের পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শ্রমিকরা। এছাড়া আশপাশের প্রায় ১৬টি গাছ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম বলেন, এটি আমাদের কৃষি অধিদপ্তরের জায়গা। আমাদের অনুমতি ছাড়াই পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভেঙেছে। ১৬টি গাছও কেটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করলে তারা পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরীর অনুমতিতে কাজ করেছে বলে জানায়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনের লক্ষে ১৬টি গাছ কেটে ও কৃষি অফিসের পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে ফেলে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড করবে পৌরসভা। সোমবার (২ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন পর্যন্ত কৃষি অফিসের বাধা উপেক্ষা করে ভবন ভাঙার কাজ চলছিল।
এ ব্যাপারে জানতে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরীর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ারের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি বলেন, বিষয়টি অফিসিয়ালি আমরা দেখবো। থার্ড পার্টি হয়ে আপনি কথা বলার কে?
