সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) জমিয়তের আসন উল্লেখ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব শায়খ মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসন থেকে জমিয়তের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসন জমিয়তের আসন, খেজুর গাছের আসন। আমরা রক্ত দিয়ে হলেও এ আসন ধরে রাখবো। পার্লামেন্টে আমরা আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠাবো।’
বুধবার বিকেল ২ টায় উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান আলোচনার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসচিব বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতৃত্বে উপমহাদেশ বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্তি লাভ করেছিল। এই দলের ইতিহাস রক্তদানের ইতিহাস, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়ার ইতিহাস। কাজেই এই দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ বিভ্রান্ত ছড়াতে চাইলে হুঁশিয়ার থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘২৪ এর গণঅভ্যূত্থানে আমরা ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে মাঠে ছিলাম। জনতার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দলীয়ভাবে আমরা কর্মসূচী পালন করেছি। কেন্দ্রিয় জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ আমরা জমিয়তের একটি প্রতিনিধি দল ৩ আগস্ট শাহবাগে গিয়ে ছাত্র জনতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলাম। এই আন্দোলনে কওমী অঙ্গন থেকে প্রায় ৮৪ জন কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। যার ফলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার খুনি সরকার পালিয়ে গেছে। অসংখ্য শহিদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করার চক্রান্ত করতে আসবে, যারা জাতির প্রতি আবারো বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে জমিয়ত সাধ্যমতো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাও. মোশতাক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাও. আবদুল হাই, উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি গাজী আবুল কালাম ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ আবু সাঈদের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি শায়খ মাও. নূরুল ইসলাম খাঁন।
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মাও. শায়খ আবদুল বছির, যুগ্ম-মহাসচিব মাও. তাফাজ্জুল হক আজিজ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র জমিয়ের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক চৌধুরী, যুব জমিয়তের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক এড. রেজাউল হক, কাতার জমিয়তের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাও. সোয়াইব আহমদ, জেলা জমিয়তের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাও. রুকনুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. রশিদ আহমদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাও. আরশদ নোমান, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাও. মাসরুর আহমদ ক্বাসেমী, দিরাই জমিয়তের সভাপতি মহি উদ্দিন ক্বাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মোখতার হোসাইন চৌধুরী, ছাতক উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাও. আলী আহমদ, জমিয়ত নেতা মাও. আবদুল হাই, মাও. আবদুর রহিম, মাও. হাফিজ আবদুল গফফার, মাও. রিয়াজ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ সদর জমিয়তের সাথারণ সম্পাদক রমজান হোসাইন, উপজেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাও. আবদুল্লাহ্, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাও. আতিকুল হক, প্রচার সম্পাদক মাও. সালমান আহমদের, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর খাঁন, উপজেলা জমিয়ত নেতা মাও. মুহসিন আহমদ ও উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ শায়েখুল ইসলাম।
এসময় জমিয়ত নেতা মাও. শায়খ ইছহাক আলী, শায়খ ইসকন্দর আলী, ক্বারী আজির উদ্দিন, মৌলভী আবদুস সালাম, মাও. আবদুল ওয়াদুদসহ উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়তা, ছাত্রজনতা ও সাধারণ তৌহিদি জনতা উপস্থিত ছিলেন।