সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সালমুন হাসান বিপ্লবের বিরুদ্ধে ‘দেবুয়া-পেকুয়া-কোদালিয়া বিল’ জলমহালের তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরিষাকান্দা নবজাগরণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি রাইছ উদ্দিন পুনরায় তদন্তের আবেদন জানিয়ে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১৪২৯ বঙ্গাব্দ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ‘দেবুয়া-পেকুয়া-কোদালিয়া’ বিল ইজারা বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সরিষাকান্দা নবজাগরণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও চুনাই নদী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইউএনওর কাছে আবেদন করে।
রাইছ উদ্দিন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ইউএনও জলমহালের সঠিক তদন্তের জন্য মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। মৎস্য কর্মকর্তা তদন্ত করে চুনাই নদী সমিতির পক্ষে ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদন নিয়ে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একাধিক সদস্য আপত্তি জানালে পুনরায় তদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। পরে তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সভাপতি করে তদন্ত কমিটি করা হয়। তিনিও সালমুন হাসান বিপ্লবের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে অন্য সদস্যদের মতামতকে উপেক্ষা করে আবারও ভুয়া ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগকারী রাইছ উদ্দিন জানান, মৎস্য কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে চুনাই নদী সমিতির পক্ষে কাজ করছেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপাশায় চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জলমহাল থেকে ব্যবসায়ীক অংশীদার হয়ে সুবিধা নিচ্ছেন।
মৎস্য কর্মকর্তা সালমুন হাসান বিপ্লব বলেন, আমি তদন্ত কমিটিতে নাই। ইজারা প্রদানের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। তদন্ত কমিটিগুলো দেখলেই তাতে কে ছিল তা বুঝা যাবে। জলমহাল থেকে সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এগুলোর প্রমাণ দিতে পারবে?
তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।’
ইউএনও মুনতাসির হাসান বলেন, প্রথমে এসিল্যান্ডকে আহ্বায়ক করে মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রকৃত মৎস্যজীবি নির্ধারণ ও সমবায় কর্মকর্তাকে সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন যদি এ নিয়ে আপত্তি থাকে তাহলে তারা আপলি করতে পারে।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’