ধর্মপাশায় মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষের শঙ্কা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ি গ্রামে হরিমন্দিরের জায়গা নির্ধারণ নিয়ে সম্রাট চৌধুরী ও অবনি তালুকদারের লোকজনের মাঝে মারমুখী অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে থানা রোডস্থ ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সম্রাট চৌধুরী ও অবনি তালুকদারসহ মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বানারশিপুর মৌজায় ১১০১ নম্বর দাগে হরিমন্দিরের নামে ৩৩ শতাংশ ভূমি রয়েছে। সেখানে সানবাড়ির গ্রামের মৃত জলধর দাসের ছেলে প্রভাত দাস প্রভাব খাটিয়ে ৫ বছর আগে বাড়ি নির্মাণ করেন। এদিকে একই মৌজায় ১১৩৬ নম্বর দাগে সানবাড়ি গ্রামের মৃত কনক লালের ছেলে সম্রাট চৌধুরীর ও ১১৩৭ নম্বর দাগে মৃত অষ্টচরণ তালুকদারের ছেলে অবনী তালুকদারের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে জায়গার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি সম্রাট চৌধুরী জানতে পারেন প্রভাতের যোগসাজসে অবনি ১১৩৭ নম্বর দাগ থেকে হরিমন্দিরের নামে ৪ শতাংশ জায়গা দান করেছেন। অবনি মন্দির কমিটিকে ওই জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় সম্রাট চৌধুরীর কিছু অংশসহ মন্দির কমিটিকে বুঝিয়ে দেন। গেল ১৫ সেপ্টেম্বর মন্দির কমিটি ওই জায়গায় হরিমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ সময় সম্রাট দেখতে পান অবনির সহযোগিতায় তার (সম্রাট) জায়গাসহ মন্দির কমিটির সভাপতি রাষু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দাস লোকজন নিয়ে মন্দির নির্মাণ করছেন। এতে সম্রাট বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এদিকে কয়েকদিন আগে অবনির ছেলে অসীম তালুকদার সম্রাটের বড় ভাই কমরেড চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে ওই মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ করেন। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সম্রাট চৌধুরী বলেন, মন্দিরের ব্যাপারে আমার কোনো অভিযোগ নেই। অবনি কৌশলে মন্দিরের নামে জায়গা দিয়ে আমার কিছু জায়গাসহ মন্দির কমিটিকে বুঝিয়ে দিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এ জায়গা নিয়ে পারিবারিক শত্রুতার জের মেটাতে ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অবনী তালুকদারের ছেলে অসীম তালুকদার বলেন, মন্দিরের জায়গা তারা দখল করেছে কি না তা যাছাইয়ের জন্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। প্রশাসনের মাধ্যমেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দাস বলেন, আমি ১১০১ নম্বর দাগের ২০ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছিলাম। এখন ১০/১২ শতাংশ জায়গা আমার দখলে আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ইতোমধ্যে বলা হয়েছে।