সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সুখাইড় কুইছহাটি গ্রামে তপন সরকার নামে এক জেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সুখাইড় কুইছহাটি গ্রামের মৃত শক্যদর আলীর ছেলে বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান নির্যাতিত জেলে তপন।
জানা যায়, একই ইউনিয়নের ভান্ডার বাড়ি গ্রামের তপন হাওরে জাল ফেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনামড়ল হাওরে তিনি জাল ফেলেন। একই স্থানে কুইছহাটি গ্রামের হেলাল মিয়া নামের আরেক জেলে লাড় বড়শি (লম্বা সুতায় বাঁধা একাধিক বড়শি) দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করে। এ সময় হেলাল তপনের জাল ছিড়ে ফেলে বলে অভিযোগ তুলে তপন। শুক্রবার সকালে এ নিয়ে হেলাল ও তপনের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয় এবং মারামারি হয়। পরবর্তীতে তপন হেলালের বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে নালিশ করতে চাইলে ওই গ্রামের মৃত শক্যদর আলীর ছেলে বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে তপনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুল মিয়া বলেন, ‘তপন কুইছহাটি গ্রামে এসে হেলালকে মারধর করে। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তপনকে বেঁধে রাখে। আমি হেলালকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। আমি তপনকে বেঁধে রাখিনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সুখাইড় গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে সুখাইড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হেলালকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। আর জানতে পারলাম তপনকে কুইছহাটি গ্রামে তপনকে গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে আমি ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি।’
জেলে তপন সরকার বলেন, ‘কুইছহাটি গ্রামের বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে আমাকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। বাবুল মেম্বারের চেষ্টায় আমি ছাড়া পাই। আমি হেলালকে মারধর করিনি।’ আর কোনোভাবেই হেলালের বক্তব্য জানা যায়নি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’