ধর্মপাশায় হামলায় চোখ নষ্ট, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রতিপক্ষের মারধর ও কিল ঘুষিতে কালা মিয়া নামের এক কৃষকের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কালা মিয়া উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় কালা মিয়ার ছেলে আইয়ূব আলী উপজেলা বিআরডিবি সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনায় জড়িত একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া ও তার ছেলে মোখশেদ মিয়ার বিচার এবং থানায় দেওয়া অভিযোগ আমলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কালা মিয়ার সাথে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া ও তার ছেলে মোখশেদ মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। গত ৯ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় টুকের বাজারে ফারুক মিয়ার দোকানের সামনে ওয়াহেদ মিয়ার নেতৃত্বে কালা মিয়ার ওপর হামলা হয়। এ সময় মোখশেদ মিয়ার মারধরে কালা মিয়ার গুরুতর আহত হয় এবং কিলঘুষি কালা মিয়ার বাম চোখে লাগে। এতে কালা মিয়ার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর শুনে কালা মিয়ার ছেলে আইয়ূব আলী সেখানে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে কালা মিয়াকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহের ধোপাখলা চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ২৪ নভেম্বর কালা মিয়া বাড়িতে ফিরেন। এর দুইদিন পর আইয়ূব আলী আব্দুল ওয়াহেদ ও মোখশেদ মিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওসি এখন পর্যন্ত অভিযোগটি আমলে নেয়নি।

আইয়ূব আলী বলেন, ‘ওসি সাহেব বলেছেন তিনি মামলা নিতে পারবেন না। আর তিনি আগামী শুক্রবার থানায় বসে বিষয়টি শেষ করে দিবেন। আমি এতে রাজি না হলে তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে যা পারি তা করার জন্য বলেছেন।’
অভিযুক্ত মোখশেদ মিয়া বলেন, ‘যা রটেছে বিষয়টি তেমন নয়। কালা মিয়ার আগে থেকেই একটি চোখ নষ্ট। এরপরও যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে তাই তার (কালা) চিকিৎসার খরচপাতিও দিয়েছি। এখন তৃতীয় একটি পক্ষ বিষয়টিকে বড় করছে। ওসি সাহেব বিষয়টি আগামী শুক্রবার শেষ করে দিবেন।’

মামলা না নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরকে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে শেষ করবে। তারপরও আমি বলেছি মামলা নিয়ে আসতে। মামলা না নেওয়ারতো কোনো কারণ নেই। তারা একবার এসেছিল। পরে আর আসেনি।’