ধনীদের দুর্নীতি-লুটপাটের দায় পড়বে গরিবের ওপর : সিপিবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলছে, এবারের ঘোষিত বাজেট ধনিক শ্রেণির দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় মেহনতি ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর চাপাবে। ফলে গরিব মেরে ধনী পোষার অতীতের ধারা এবারেও বাজেটে অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে এই সংকোচনমূলক বাজেট প্রবৃদ্ধি কমাবে, কিন্তু বেকারত্ব বাড়াবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ মন্তব্য করেন।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিপিবি জানায়, সাধারণ মানুষের জন্য এখন সময়টা ভালো নয়। অধিকাংশ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যয় বেড়েই চলেছে। সবার কাজের নিশ্চিয়তা নেই। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেবে না। বাজেট বক্তৃতায় মিষ্টি কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে নানাভাবে কর ও মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পথ আরও প্রশস্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি করার কারণে সব আমদানি দ্রব্যের দাম দ্রুত বেড়ে যাবে। সরকার একদিকে মুদ্রাস্ফীতিকে এই বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে আইএমএফের নির্দেশ পালন করে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তার দায় গ্রাহকের ওপর চাপিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দারিদ্র্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছে এবং দরিদ্রদের চরম দরিদ্র হয়ে পরার আশঙ্কা বাড়ছে। একই সঙ্গে উৎপাদনশীল খাতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা দাবি করেছিল চাল-ডাল-তেল ও শিশু খাদ্যের রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বাজেটে তা করা হয়নি।

তারা বলেন, যারা ঋণখেলাপি ও টাকা পাচারকারী তাদের কাছ থেকে সরকার তা আদায় না করে ব্যাংকের সুদের হার বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে। ফলে সেসব ঋণগ্রহীতারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তার উৎপাদনশীল ব্যবহার করে ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেছে, তাদের এখন বর্ধিত সুদের বোঝা বাধ্য হয়ে বহন করতে হচ্ছে।

সিপিবি বলছে, অর্থনৈতিক সংকটের মুখে প্রণীত এ বাজেট আয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সাধারণ জনগণের ওপর। কিন্তু জনগণের জন্য বাজেটে কল্যাণমূলক ব্যয় আরও হ্রাস করা হয়েছে।