হরতালের দ্বিতীয় দিনে সিলেট নগরীতে একটি ট্রাক ভাংচুর করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা।
সকালে নগরীর মেন্দিভাগ এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ট্রাকটির উপর হামলা চালায়।
এদিকে, সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এসময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পরে, পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এছাড়া, নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকায় মিছিল করে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
হরতালের সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে যানবাহন চলাচল। আন্ত:উপজেলা সড়কে স্বল্পসংখ্যক বাস চলাচল করলেও সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে চলাচলকারী সাধারণ মানুষেরা।
অন্যদিকে সড়ক মহাসড়কে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
হরতালের কারণে নগরীর ছোট দোকানপাট খোলা থাকলে বন্ধ রয়েছে শপিংমল ও বিপনি-বিতান। স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে স্বাভাবিক দিনের মতো খুলেছে দোকানপাট। জনজীবনও রয়েছে অনেকটা স্বাভাবিক।
এদিকে হরতালের নামে নগরজুরে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হরতাল অবরোধের নামে সিলেট মহানগরীতে অগ্নিসন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
যেকোনও ধরনের নাশকতার তথ্য মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ৬ থানার ওসিদের দিয়ে সহযোগিতা করলেই মিলবে এই পুরস্কার।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে জানানো হয়- “সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় নাশকতাকারী ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ, বিপিএম(বার), পিপিএম। জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত আছে এবং নগরবাসীর পাশে আছে। সিলেট মহানগরীকে নিরাপদ রাখাতে তথ্য দিয়ে পুলিশের পাশে থাকুন।”
এতে যেকোন ধরণের নাশকতার খবর পেলেই সাথে সাথে এসএমপির কন্ট্রোল রুমের ০১৩২০০৬৯৯৯৮ এই নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করতে বলা হয়।