দোয়ারাবাজারে শিক্ষিকাকে মারধর, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষকরা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজার গ্রামের জাফর খানের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই পরিবারের প্রয়াত দীনবন্ধু বর্মনের স্ত্রী রেখা রানী বর্মনের। এরই জেরে গত শুক্রবার সকালে জাফর খান বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক গাছ কাটতে গেলে বাধা দেন রেখা রানী এবং তার মেয়ে বোগলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিপা রানী। এ ঘটনায় জাফর খান তাদের ওপর চড়াও হন এবং মা-মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রেখা রানী দাস।

এদিকে শিক্ষিকা রিপা রানীকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করে রিপা রানী বলেন, জাফর খান বিরোধীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক গাছ কাটতে গেলে আমার বাধা দেই। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এসময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করেন। টানাহেঁচড়ার সময় আমার ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি জাফর খান নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, জাফর খান আমাদের ধর্ম ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে আমাদের নিঃস্ব করার চেষ্টা করছেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এর বিচার চাই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষিকা মারধরের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, শিক্ষিকা এবং তাঁর মাকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।