দোয়ারায় নির্বাচনী সহিংসতায় মামলা, অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্ক

আহতদের ফাইল ছবি

দোয়ারাবাজারে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। সংঘর্ষের দিন গত বুধবার সকালে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মিয়ার উপর অবৈধ পিস্তল দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের পরিত্যক্ত এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আধিপত্য দেখাতে গিয়ে যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে; এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে সংঘর্ষের একদিন পর বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেকের পুত্র এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গাঁও গ্রামের বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছেন। (মামলা নম্বর ০৪,১১/০১/২০২৪)।

উপজেলা সদরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের দিন পুলিশ পিস্তলের পরিত্যক্ত গুলি উদ্ধার করলেও এখন পর্যন্ত পিস্তল উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে জনসাধারণ আতঙ্ক বিরাজ করছে। অস্ত্র উদ্ধার না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে; এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসপি (ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেছেন, সংঘর্ষের দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পিস্তলের একটি পরিত্যক্ত গুলিও উদ্ধার করা হয়েছিল। পিস্তল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর আছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবলীগ নেতা আবুল মিয়ার বাজারের বাসার গেটের সামনে তার উপর অতর্কিত হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

ঘটনা জানাজানি হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ১০৪ রাউন্ড সর্টগানের গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছুঁড়া রাবার বুলেটে অন্তত ৪৬ জন আহত হন। এদের অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানো এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের শীঘ্রই গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।