দোয়ারাবাজার উপজেলায় জমি দখল করতে গিয়ে বাড়িতে হামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরোরগাঁও গ্রামে নুরু মিয়া মেঘা ও শাফির উদ্দিনের মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাফির উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে শাফির উদ্দিনের বাড়ির পাশের জায়গা দখল করতে যায় নুরু মিয়ার লোকজন। এসময় তারা বাঁধা দিতে গেলে নুরু মিয়া মেঘাসহ ৩০/৩৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে শাফির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে বাড়ির ১৪ জন লোককে আহত করে।
আহতরা হলেন, উরোরগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র সাফি উদ্দিন (৮৬), সালাউদ্দিন (৬০) ও আলাউদ্দিন (৫৩), সালাউদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫৫), সামছুল হকের স্ত্রী হেনোয়ারা খাতুন (৩৫), সামছুল হকের মেয়ে শামীমা আক্তার (১৭) (শিক্ষার্থী), আলাউদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৬) (শিক্ষার্থী), সামিউদ্দিনের পুত্র তাজুল ইসলাম (৩২), আজিজুল হক (২৬), জয়নাল আবদীন (২০), আমীরুল হকের স্ত্রী আছমা আক্তার (২৩), সামছুল হকের পুত্র আব্দুস সামাদ (১৫), তাজুল ইসলামের স্ত্রী নুরুন নাহার (২৪), সাফিউদ্দিনের পুত্র মিসবা উদ্দিন (২০)।
এসময় নুরু মিয়ার পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, উরোরগাঁও গ্রামের লালু মিয়ার পুত্র কায়ুম মিয়া, কামরুল ইসলাম, নাঈম হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল জলিলের পুত্র রানা মিয়া, মফিজ উদ্দিনের পুত্র মতিন মিয়া, কিরনপাড়া গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র রানা মিয়া।
এদিকে আছমা আক্তার, আজিজুল হক, হেনুয়ারা বেগম, সালাউদ্দিনসহ চারজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
মামলার বাদি শাফির আলী বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশের জায়গা নুরু মিয়া মেঘা জোড়পূর্বক দখল করতে আসে। এসময় আমরা বাঁধা দিলে নুরু মিয়া ৩০/৩৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের সবাইকে মারপিট করে এবং ঘরের মালামাল ভাংচুর করে।’
দোয়ারাবাজার থানার এস আই সমরাজ হোসেন জানান, ‘শফির আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’