দোয়ারাবাজারে গুদামে আগুন, ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

দোয়ারাবাজারে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে কয়েকটি গুদাম। আর এতে ৮ ব্যবসায়ীর অন্তত ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) রাত ১১ টায় দোয়ারাবাজারের মধ্যবাজারে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে বাজারের মানুষ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যে ৩টি গুদামঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ভস্মীভূত হওয়া দোকানগুলো হলো মেসার্স হাসান হার্ডওয়্যার, কাকন বস্ত্রালয়, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, মিসবাহ উদ্দিন মিলনের গুদাম ঘর, তৈমুজ আলীর কাচামালের গুদাম, সজল মিয়ার কাচা মালের গুদাম, সুজেল মিয়ার কাচামালের দোকান, তোয়াজ আলীর পান দোকান, মামুন মিয়ার দোকান।

মেসার্স হাসান হার্ডওয়্যার এর মালিক আসকর আলী বলেন, ‘আমার গুদামে ছিলো ঢেউটিন, রং। এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রীর বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে আমার প্রায় ১০ লাক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কাঁচামাল ও ফল ব্যবসায়ি তৈমুছ আলী বলেন, সিলেট থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার আম ও কাঁচামাল আমার গুদামে ছিল, সব মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ব্যবসার উপর আমার পরিবার পরিজন নিয়ে চলছি। এখন ব্যাবসা করারমত ক্ষমতা আর নাই। যদি সরকারি সহযোগিতা না পাই আমার পরিবারপরিজন নিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে পড়বে।’

দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আব্দুল হান্নান জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ আগুনের খবর পেয়ে আমাদের পুরো ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। গত কয়েকদিন যাবৎ অতিরিক্ত গরম ছিল হঠাৎ বৃষ্টি দেয়ায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর বলেন, গতরাতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুনের বড় ক্ষতি থেকে বাজারকে রক্ষা করা হলেও ৫/৭টি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আরিফ মোর্শেদ মিশু জানান, ‘আগুনে পোড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের বেশ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। দেখা যাক সরকারীভাবে তাদের জন্য কিছু সহায়তা দেয়ার ব্যাবস্থা করা যায় কিনা।’