দোয়ারাবাজারে একই জমি একাধিকবার বিক্রির অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রতারণা করে একই জমি বার বার বিক্রির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফ্রান্স প্রবাসী আব্দুল হক। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল গণির পুত্র।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকালে দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হক বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত জীবনজীবিকার তাগিদে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি। ২০০৩ সালে নৈনগাঁও গ্রামের মছদ্দর আলী ও আনর আলী জৈনিক আব্দুর রহিমের ৪৫ শতাংশ জমি তাদেরই ভোগদখলে থাকায় আমার কাছে মৌখিক ভাবে বিক্রি করে এবং দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেয়। সেই থেকে আমি বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমি প্রবাসে থাকাকালেই বিক্রেতা মছদ্দর আলী ওই জমির আরো ৫ জন মালিক বের করে। এদের কাছ থেকেও একই জমি যথাযথ মূল্য পরিশোধ করে দলিলের মাধ্যমে আমি ক্রয় করি। আমি প্রবাস থেকে দেশে ফেরার পর জানতে পারি ওই ৫ জনই জমির ভুয়া মালিক ছিলেন। বিক্রেতারা নিজেরাই একাধিক মালিক বানিয়ে একই জমি বার বার আমার কাছে বিক্রি করে প্রতারণা করেছেন।

উল্লেখ্য, ওই জমির মূল মালিক তৎকালে লন্ডন প্রবাসে থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। এই সুযোগে তারা আমার সাথে একাধিকবার প্রতারণা করেছে। কিন্তু আমি দেশে ফেরার পর জমি বিক্রেতা মছদ্দর আলীর এক পুত্র আব্দুল হাই দরবারী আমার ক্রয়কৃত ও ভোগদখলীয় জমি তার নিজের বলে দাবি করে। সে আমাকে একই জমি তার কাছ থেকে পুনরায় ক্রয় করার প্রস্তাব দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ওই একই জমি আমি ক্রয় করার পূর্বেও ভিন্ন দাগ নম্বর দিয়ে আরো অনেকের কাছে বিক্রি করে তারা এবং শেষে নিজেদের নামে মূল রেকর্ডকের মালিকের কাছ থেকে দলিল করিয়ে নেয়। আমি জমির ভোগদখলে আছি কিন্তু দলিল আমার কাছে নেই। আমি প্রতারণার শিকার। আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে এর যথাযথ প্রতিকার চাই।