দোয়ারাবাজারে ঋণ দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ঋণ দেওয়ার নামে ২৩ পরিবারের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা কলোনীতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যে ২৪ পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের পর একই গ্রামের মৃত মকদ্দছ আলীর পুত্র আকবর আলী ওরফে কালা মিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৭ মাস পূর্বে প্রত্যেক কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করেন। এরমধ্যে কোনো প্রকার ঋণ পাওয়া তো দূরের কথা তাদের দেওয়া টাকাও ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ঋণ বা টাকা ফেরত চাইলে কালা মিয়া বলেন, সমাজসেবা অফিসে সমিতি নিবন্ধন করা বাবদ টাকা খরচ হয়ে গেছে। টাকা চাইলে তিনি উল্টো মারধরের হুমকি ধামকি দেন। সোমবার টাকা উদ্ধার ও প্রতিকার চেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩ পরিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এব্যাপারে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্যা বকুল আক্তার বলেন, আকবর আলী ওরফে কালা মিয়া ২ লাখ টাকা করে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রত্যেক ঘর থেকে ৪/৫ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। উপজেলা সমবায় অফিসারের যোগসাজশে কালা মিয়া টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে। এখন টাকা ফেরত চাইলে সময় ক্ষেপণ করেন এবং মারধর করার হুমকি ধমকি দেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুল জলিল কালা মিয়া বলেন, আমাদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। গত ৭/৮ মাসেও ঋণ তো দূরের কথা আমাদের দেওয়া টাকাগুলো ফেরত পাইনি। এখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, আমাদের টাকা সমিতি নিবন্ধনের কাজে খরচা হয়ে গেছে।

সত্যতা জানতে আকবর আলী ওরফে কালা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সমিতি নিবন্ধন বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩১ শ টাকা করে নিয়েছি। তন্মধ্যে ২ হাজার টাকা করে ব্যাংকে ২৪ জনের টাকা জমা আছে। বাকী ১১ শ টাকা সমিতি নিবন্ধনের কাজে খরচ হয়েছে।

দোয়ারাবাজার সমবায় অফিসার মোফাজ্জল হোসন বলেন, আমি শূনেছি কালা মিয়া টাকা উঠিয়েছে কিন্ত কত টাকা উঠিয়েছে আমার জানা নেই।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।