বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে একটা বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। আর এ ষড়যন্ত্রের হেডকোয়ার্টার হচ্ছে দিল্লি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত এ অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বিফল হয় সে জন্য একটি পরাজিত গোষ্ঠী দেশবিরোধী নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে জন্য দেশবাসীকে তিনি তাদের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কমলগঞ্জের চাঁদনি কমিউনিটি সেন্টারের সম্মুখে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নাসের রহমান বলেন, ‘ভারতের ৪৯টি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ইসকনের বহিষ্কৃত এক নেতাকে গ্রেপ্তার করায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওই সব ভারতের মিডিয়া ভুয়া সংবাদ প্রচার করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে।
’
দেশবাসীর প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘দেশে কী কোনো হিন্দু ভাইদের নির্যাতন কিংবা মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে? দেশে এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অথচ ভারতীয় মিডিয়াগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। তাদের এই পাতানো ফাঁদে আমরা যেন পা না দিই।সে জন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’বিগত সাড়ে ১৫ বছর এখানকার পতিত স্বৈরাচারিণীর দোসর শহীদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ আব্দুস শহীদ আজান দিয়ে ঘুষের টাকা নিত। সেদিন মৌলভীবাজারে কোর্টে তিনি হাজিরা দিতে এলে জনগণ তাকে চোর চোর বলে চিৎকার করে ডাকে। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশের সমন্বয়ক স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী হাজী মুজিব, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মো. মহসিন মিয়া মধু, মোশাররফ হোসেন বাদশা, এম এ মুকিত, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, আশিক মোসাররফ, মো. হেলু মিয়া, বকশী মিসবাউর রহমান, মতিন বকস, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুর রহিম রিপন, আনিসুজ্জামান বায়েস, আবুল কালাম বেলাল, দুরুদ আহমেদ, মনোয়ার আহমেদ রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোলাম কিবরিয়া শফি, ইকবাল পারভেজ শাহীন, আবুল হোসেন, অলি আহমদ খান প্রমুখ।