সিলেটের নব-গঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র মুহিবুর রহমান যুক্তরাজ্যে এক মাসের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। এসময় শতাধিক গাড়ী বহর নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে স্বাগত জানান।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মেয়র মুহিবুর রহমান সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আসলে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেইটে তাঁকে রাজসিক গণ-সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন তাকে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে সংক্তিপ্ত বক্তব্যে রাখতে গিয়ে বিশ্বনাথ পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি বহরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মেয়রকে বিশ্বনাথে নিয়ে আসা হয়। বিকেলে পৌরশহরের মেয়রের বাসার সামনে ফের সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মেয়র মুহিবুর রহমান।
এসময় মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বনাথ পৌরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমার যুক্তরাজ্যে গমন। যুক্তরাজ্য থেকে বিশ্বনাথবাসীর জন্য শুভ বার্তা নিয়ে এসেছি। যুক্তরাজ্যে যাওয়াটা বেশ কিছু পরিকল্পিত কর্মসূচি ছিল, যা বিশ্বনাথের উন্নয়নের কর্মসূচি।’
তিনি আরো বলে, সরকারের একার পক্ষে পিছিয়ে পড়া এ জনপদের সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আমাদের প্রবাসি ভাইদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এ যাত্রায় প্রবাসি ভাইদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। তারা বিশ্বনাথের উন্নয়নের ব্যাপারে আশ্বস্থ করে বলেছেন, ‘আমরা আপনার সকল কাজে সবসময় সহযোগিতা করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ থেকে বিশ্বনাথের ভবিষ্যত কর্মসূচি প্রণয়ন করবো। আর সেখান থেকেই সূচনা হবে বিশ্বনাথ কেমন হবে।’
এর আগে সকাল থেকে পৌর মেয়রের আগমন উপলক্ষে পৌরশহরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জড়ো হন। এসময় পুরো পৌরশহর একটি উৎসবে পরিণত হয়।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, জিএমজি কার্গোর চেয়ারম্যান মনির মিয়া, বিশ্বনাথ কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম, রোটারিয়ান সৈয়দ ইসলাম সেলিম, খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, প্যানেল মেয়র-১ রফিক হাসান, পল্লি বিদ্যুতের পরিচালক রমা কান্ত দে, মহিলা কাউন্সিলর রাসনা বেগম, লাকি বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন, কাউন্সিলর জহুর আলী, রাজুক মিয়া রাজ্জাক, মোহাম্মদ সুমন, শামিম আহমদ, বারাম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেঘল দাশসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত দেড় হাজার মানুষ।