২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ডেঙ্গুর রেকর্ড রাখা শুরু করে। এরপর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৭৮ জন। ডেঙ্গুজনিত রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ২৬৬ জনের, যা এক বছরে সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে দেশের আট বিভাগই ডেঙ্গু শনাক্ত এবং মৃত্যু কমবেশি রয়েছে। গতকাল শনিবারও এই মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩ জনের নাম।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার এন্ড কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬০ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৩৮ হাজার এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ২২ হাজার ৭৮ জন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৩১ জন।
প্রসঙ্গত, মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। সাধারণত এক সপ্তাহেরও কম সময় ধরে এই রোগের বিকাশ হতে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ডেঙ্গুর স্বাস্থ্যগত প্রভাবের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ফুসকুড়ি, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা এবং সামান্য রক্তপাত। ডেঙ্গু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।