ভারত থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসব আগামী নভেম্বর মাসে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিতরঙ্গের কার্যালয়ে সংগঠনের মহাসচিব শাওন পান্থের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রস্তুতি সভায় আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ দুটির সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ডক্টর দেবব্রত দেবরায়সহ ভারতের পাঁচজন প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, সংগঠক ও সাংবাদিক অংশ নেন।
সভায় আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং সর্বসম্মতিক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিণ আখতারকে সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক শাওন পান্থকে সদস্যসচিব করে ৫০ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী নভেম্বর মাসে চট্রগ্রামে বর্ণাঢ্য কলেবরে একটি প্রকাশনা উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। প্রস্তুতি সভায় সূচনা বক্তব্য দেন কবি শাওন পান্থ এবং মূল বক্তব্য দেন ড. দেবব্রত দেবরায়। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কানাডা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে বক্তব্য দেন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক এলিজাবেথ আরিফা মোবাশশিরা, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফাতেমা জেবুন্নেসা, সাংবাদিক ও সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, কবি কমরে আলম, বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী ডনাই প্রু নেলী, যুগ্ম-সদস্য সচিব আমিনা রহমান, কবি তৌফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নিলুফার ইয়াসমিন জয়িতা, কবি ইসমত আরা নীলিমা, নাসিমা আক্তার ডেইজী, কবি শাহীন মাহমুদ, নৃত্যশিল্পী অনন্য বড়ুয়া, শিল্পী শিলা চৌধুরী, বাচিক শিল্পী কঙ্কন দাস, প্রবীর পাল, নাজনীন হক, অধ্যাপক সাকিব করিম, ফারহান খান, আদিবা ওয়াদুদ, মোহাম্মদ তিতাস, শাহানুর আক্তার শানু, নাসির হোসেন জীবন, কবি মোহাম্মদ কায়সার, রবীন হাসান, মনোয়ারা মনা প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে বক্তব্য দেন কবি মৃনাল কান্তি পন্ডিত, বিশিষ্ট গীতিকার গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সীমা পুরাকায়স্থ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগীতশিল্পী সুবর্ণা রহমান।
ড, দেবব্রত দেবরায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সেটা কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শাওন পান্থ তাঁর বক্তব্যে বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে করতে পারবো বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।
পরে দুই দেশের শিল্পীদের আবৃত্তি, গান এবং স্বরচিত কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।