দিরাইয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর মামলা

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বহুল আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরীর আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষপানে নিহত সৌম্য চৌধুরীর স্ত্রী ইলা চৌধুরী বাদী হয়ে শনিবার (১৭ জুন) দিবগত রাতে দিরাই থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পৌরসভার আনোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা আকবুল মিয়ার পুত্র  হাবিবুর  রহমান হবু, দোওজ গ্রামের আলা উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিন, রাজানগর গ্রামের সুরেন্দ্র দাসের ছেলে স্বজন দাস, রামকুমার দাসের ছেলে পুতুল দাস, কালি চরন দেবনাথের পুত্র অসিত দেবনাথকে আসামি করা হয়।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায়  ৫ জনকে অভিযুক্ত করে তার স্ত্রী ইলা চৌধুরী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে  আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে মামলাটি রেকর্ড ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সুদখোর  হাবিবুর রহমান হবু গংদের  মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতনের কারনে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন সৌম্য চৌধুরী । আসামি হাবিবুর রহমান হবু ও জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে সৌম্য চৌধুরী স্বামী কিছু টাকা ঋণ নেন এবং এসময় হবু ও জসিম ব্যাংকের চেকের খালি পাতায় তার স্বাক্ষর নেয়। কয়েকদিন পর কর্জ টাকাকে সুদের টাকা বলে প্রচার চালায় এবং খালি চেকে অন্যায়ভাবে ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করে।

মামলা চলা অবস্থায় সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়ার মধ্যস্থতায় হবু ও জসিম মামলা তুলে নেবার কথা দিলে সৌম্য টাকা পরিশোধ করেন। তবে হাবিবুর রহমান হবু মামলা না তুলে ৩ লাখ টাকা ঋণের পরিবর্তে ৩০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার  মামলার রায় করে নেয়।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুন শনিবার রাত ৯ টার দিকে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মত্যুর আগে ফেসবুকে সৌম্য চৌধুরী সুদখোর হবুসহ কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ীর নামোল্লেখ করে তার পরিণতির জন্য তাদের দায়ী করে যান।