সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আলোচিত শিশু উসমান হামজা (৮) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত আলী উসমান হামজার পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি (তদন্ত) আকরাম হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আটক মুজাহিদ স্বীকারোক্তি দিলেও ওয়ান সিক্সটি ফোরে তার জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি অপেক্ষা করতে হবে। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে ঘাতক মুজাহিদকে আজ আদালতে প্রেরণ করেছি। তবে কেন কিভাবে তাকে খুন করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার পাশ্ববর্তী কাইতলা বাঁধ সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে নিহতের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেলে স্থানীয় জনতা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে ঘাতক মুজাহিদ ইসলামকে (১৪) আটক করে। এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয়দের মাঝে শোক ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছোট ছেলে আলি ওসমান হামজা ও আব্দুস সত্তার মিয়ার ছেলে মো. মুজাহিদকে গত শনিবার থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের বিষয়টি মাইকে ঘোষণাও করা হয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও হারানো সংবাদ প্রচার করা হয়। খোঁজাখুঁজির পর নিখোঁজ হওয়া মুজাহিদকে শনিবার রাতে ১২টার দিকে বাড়ির পাশে ফসলী জমি থেকে তার চাচা অস্বাভাবিক অবস্থায় পান। এর দুইদিন পর শিশু আলী ওসমানের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা দিকে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ডোবায় ভাসমান একটি লাশ দেখতে পেয়ে দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল জাহিদুল ইসলাম খান, ওসি (তদন্ত) আকরামসহ পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে দিরাই থানায় নিয়ে আসেন এবং ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদরে প্রেরণ করা হয়।