সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে দিরাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সাংবাদিক জুসেফের পৌরসভার বাসভবনের সামনে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে সাংবাদিক জুসেফ ও তার ছোট ভাই জাকির হোসেন জোহান মারাত্মকভাবে আহত হন।
সাংবাদিক জুসেফ দৈনিক ভোরের কাগজের দিরাই প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় হামলাকারী মেহরাব হোসেন রুনেলকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে হামলার আহতদের দিরাই সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা জন্য সিলেট রেফার করা হয়েছে বলে জানান আবাসিক মেডিকেল অফিসার রায়হান মিয়া।
জানা যায়, জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে সাংবাদিক জুসেফ ও চেয়ারম্যান জুয়েল এর পরিবারের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিবাধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সোমবার বিকেলে সরমঙ্গল গ্রামে সালিশি বৈঠক বসে। এ সময় চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজারা সাংবাদিক জুসেফকে হত্যার হুমকি দেয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাংবাদিক জুসেফ ও তার ভাই আরামবাগ বাসভবনের সামনে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়।
সাংবাদিক জুসেফ জানান, ‘আমার দাদা মৃত আচকির উল্লা ১৫ বছর আগ থেকেই এই স্কুলের ভূমি দাতা। কিন্তু আমার চাচাত ভাই জুয়েল চেয়ারম্যান হবার পর ১ মাস আগে স্কুলটির ভূমি দাতা হিসেবে তার পিতা মরহুম আব্দুল মতলিবের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।’
জুসেফ আরও বলেন, আব্দুল মতলিব একজন চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে দিরাইয়ে সুপরিচিত ছিলেন।
এ বিষয়ে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, হামলার ঘটনায় দিরাই প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, প্রেসক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত সাগর দাস, দপ্তর সম্পাদক রুম্মান আহমেদ, নির্বাহী সদস্য আবু হানিফ চৌধুরী, মোশাহিদ আহমদ সরদার ও শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ।