আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তানভীর তুলি বলেছেন, ”দিরাই-শাল্লায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। আমি আসার সময় দেখেছি রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। মোটরসাইকেল দিয়ে এসেছি রাস্তা ভাঙা গাড়ি থেকে পড়ে যাই পড়ে যাই অবস্থা! রাস্তার বেহাল অবস্থা হওয়ায় গাড়ি নিয়ে আসতে পারিনি, দিরাই ডাকবাংলোতে রেখে এসেছি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গাড়ি নিয়ে আসতে পারিনি এ লজ্জা শুধু নেতৃবৃন্দের নয়, এ লজ্জা আমাদের সবার। আমি দিরাই-শাল্লাবাসীর ‘অবহেলিত’ নামটি মুছে দিতে চাই।”
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোট দিলাম কিন্তু আমাদের দাবিদাওয়া আদায় করে নিতে পারিনি। রাস্তা নাই মানে কিচ্ছু নাই। চাকরি করার সুবাদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছি তখন আমার মনে হল যে জনসেবা করতে হলে রাজনীতি করা দরকার।’
সোমবার (২৯ মে) শাল্লায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও নির্বাচনী জনসংযোগের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লীডার তানভীর তুলি বলেন, ‘যার যার অবস্থান থেকে সবাই জনসেবা করতে পারি তবে সেটার পরিমাণ ক্ষুদ্র। জনসেবা করার লক্ষ্যেই আমি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলাম। মেজর থাকা অবস্থায় চাকরি থেকে অবসর নিতে আমি স্বেচ্ছায় একটি আবেদন দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম ঢাকাতে, পড়াশোনাও ঢাকাতে এবং দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছি। এলাকায় খুব একটা আসা হয় না। আজকে শাল্লাতে জীবনে প্রথম এসেছি। দিরাই-শাল্লার যে পরিস্থিতি এটাই আমার রাজনীতি করার সঠিক সময়। আমি কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছি নমিনেশন পাওয়ার জন্য, আমি আমার মত চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য বজলুর রশিদ, জেলা পরিষদ সদস্য টিকেন্দ্র চন্দ্র দাস, যুবলীগ নেতা ফেনী ভূষণ সরকার, রফিক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল বারী লেলিন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পলাশ চৌধুরী, ইউপি সদস্য সিরাজ মিয়া, সহদেব চন্দ্র দাস, ইকরামুল মিয়া, রনি চৌধুরী প্রমুখ।