সিলেটে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁয়ার পর জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখনই বিকেলে ধমকা হাওয়া দিয়ে রাতে সিলেটের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর এলাকাগুলোতে নেমে আসে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি।
গেল কয়েকদিন ধরে সিলেট বিভাগের সকল জেলায় তীব্র দাবদাহ অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল জনজীবনে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা নামার পরই কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এসময় আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। এরপর রাত সাড়ে ৯ দিকে সিলেট সুামগঞ্জ জেলায় উপর নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি।
প্রথমে বাতাসের গতিবেগ কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে বাতাসের গতি। শো শো আওয়াজ জানান দেয় বৃষ্টির আগমনি বার্তা। এরপর শুরু দমকা হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি। তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তি বয়ে আনে এই শীতল বাতাস আর বৃষ্টি।
সিলেটের হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান তমাল বলেন, সিলেটের তাপমাত্রা যেন প্রতিনিয়ত রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় লেগেছিলো, চলাফেরায় মানুষের কষ্ট হয়েছে অনেক, বিশেষ করে যারা দিনমজুর ছিলেন তাদের অবস্থা ছিল খারাপ তবে সন্ধ্যার পর বাতাস দিয়ে এভাবে বৃষ্টি আসায় জনজীবনে অনেক স্বস্তি ফিরে এসেছে, আবহাওয়া যেন এভাবেই তাকে কয়েকদিন।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রবি ও সোমবার সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এমনকি ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। একই পরিস্থিতি থাকতে পারে ২৭ ও ২৮ মে পর্যন্ত।