বছর শুরু করেছিলেন দারুন এক ফিফটি দিয়ে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৮৮ রানের (৩৭০ মিনিটে ২৪৪ বলে) দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস। তার সাথে মাহমুদুল হাসান জয় (৭৮), লিটন দাস (৮৬) আর নাজমুল হাসান শান্তর (৬৪) ফিফটি এবং মিরাজের ৪৭ রানের আরও এক কার্যকর ইনিংস যোগ হলে ৪৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি তৈরি হয়। এবং তাতেই গড়ে ওঠে জয়ের ভিত। শেষ পর্যন্ত মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কিউদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়ের স্বাদ পায় টিম বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপর কোথায় যেন হারিয়ে যান মুমিনুল। তিনি যে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার, সে সত্য কর্পুরের মত উবে যেতে থাকে।
পরের ৬ টেস্টে ১২ ইনিংসে (১৩, ০, ৩৭, ০, ২, ৬, ৫, ২, ৯, ০, ০, ৪ ) শুধুই ব্যর্থতার ঘানি টানলেন মুমিনুল। এ বাঁ-হাতি ব্যাটার যেন রান করতেই ভুলে যান। ওই ৬ টেস্টে একবারের জন্যও পঞ্চাশের ঘরে পৌছেনি তার ব্যাট। একটি মাত্র ইনিংস আছে ৩৭ রানের। আর ১০বার আউট হয়েছেন দুই অংকে পা না রেখেই। এর মধ্যে চার চারটি শুন্যও সঙ্গী তার।
টানা ব্যর্থতার কারণে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর অফ ফর্মের কারণে পরপর দুই টেস্টে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত জুনে) আর চট্টগ্রামে ভারতের সাথে প্রথম টেস্টে একাদশেই জায়গা পাননি। এ টেস্টে আবার দলে ফেরানো হয়েছে তাকে।
মুমিনুলের পরিবর্তে যাকে দলে নেয়া হয়েছিল, সেই ইয়াসির আলী রাব্বি যারপরনাই ব্যর্থ। চট্টগ্রামে এক ইনিংসে ৪, অন্য ইনিংসে করেছিলেন ৫ রান। তাকে খেলানোও হয়েছিলো তিন নম্বরে, মুমিনুলের জায়গায়। যার ফলে ঢাকা টেস্টে ইয়াসির আলী রাব্বিকে বাদ দিয়ে একাদশে নেয়া হয় মুমিনুলকে।
তিনি যে তিন নম্বরে বাংলাদেশের পরীক্ষিত একজন ব্যাটার, সেটা আবারও প্রমাণ করলেন। দলে জায়গা ফিরে পেয়েই ব্যাট হাতে পুরনো চেহারায় ফিরে এলেন টেস্টে বাংলাদেশের এই সেরা ব্যাটার।
ব্যাটিং উপযোগি, তাই চট্টগ্রামে না নিয়ে ঢাকায় কেন তাকে খেলানো হচ্ছে? এমন কথা উঠেছিল; কিন্তু সব কথার জবাব দিয়ে অবশেষে আবার মাঠে নেমে হাফ সেঞ্চুরি মুমিনুলের। ১২ ইনিংস পর আবার হাসলো মুমিনুলের ব্যাট।
আজ লাঞ্চের সোয়া ঘণ্টা পর ৭৮ বলে (২ ঘন্টা উইকেটে থেকে ৯ বাউন্ডারিতে) টেস্টে নিজের ১৬ নম্বর ফিফটি পূর্ণ করেন মুমিনুল।
হাফ সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকছেন না। ইনিংসটাকে আরও বড় করার চেষ্টা করছেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় মুমিনুলের রান ৮৯ বলে ৫৭। বাউন্ডারি মেরেছেন ১০টি।