শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সরকার কর্মমুখী শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনগুলোর উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের স্বনামধন্য শিল্পকারখানার মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কিলস কম্পিটিশন বিষয়ক এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে যা দেশে এবং বিদেশের শ্রমবাজারে অবদান রাখবে।
শিক্ষামন্ত্রী বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) বিকালে নগরীর বালুচরস্থ একটি অভিজাত কনভেনশন হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন প্রকল্প এসেট’র (অ্যাকসেলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনমিক ট্রান্সফরমেশন) কর্তৃক আয়োজিত কারিগরি শিক্ষাঙ্গনের সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা ‘স্কিলস কম্পিটিশন ২০২৩’ এর দিনব্যাপী দক্ষতা প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবনী মেলা এবং সেমিনার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মো. কামাল হোসেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মো. মহসিন, এসেট’র প্রকল্প পরিচালক আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, এসেট’র অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ড. জহির বিশ্বাস ও প্রকল্প কর্মকর্তা মোনালিসা পপি।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মো. কামাল হোসেন, দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারে বাস্তব চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে সরকার দেশের কারিগরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে এসেট প্রকল্প।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মো. মহসিন বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে পরিপূর্ণ সক্ষম হবো। স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ভিত্তি চারটি। এগুলো হচ্ছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ গঠন।
সেমিনারে এসেট’র প্রকল্প পরিচালক আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের যুব, শ্রমিক, নারী, প্রতিবন্ধী, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।