কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা গোলাগুলির শব্দ পান।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী জানান, বান্দরবানের তুমব্রুর পর এবার আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে তারা যাতে ভয়ে না থাকেন, সেজন্য বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। এখানে সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে সকাল ৮টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে আবারও গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরেই গোলাগুলি চলছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দার চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। এ ঘটনায় সীমান্তের ৩০০ পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল ও গোলার আঘাতে শূন্যরেখার একজন রোহিঙ্গা নিহতসহ ছয় জন আহত হয়েছেন। এর আগে মর্টারশেল ও গোলার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চার বার তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজকেও সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মার্টারশেলের শব্দ এপারের স্থলভূমি কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছে মর্টারশেল এখানে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছেন।’