একদিন মাদ্রাসায় না যাওয়ায় অভিযোগে তাহিরপুরে দারুল আজহার বাদাঘাট ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছেন শিশু শিক্ষার্থীকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে নৌরভ হাসান নামে নামের ওই শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। নৌরভ উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
ছাত্রের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, ছেলেকে হাফেজ তৈরির আশায় ওই মাদ্রাসায় দেওয়া হয়। সেখানে পড়াকালীন সময়ে সে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকত না, শুধু শুক্রবার রাতেই মাদ্রাসায় যায়নি। শুক্রবার রাতে সে মাদ্রাসায় না যাওয়ায় পরদিন শনিবার বেলা ১১টায় সে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ সায়েম তাকে বেত (জালিবেত) দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে শরীরের দুই হাত-পা-পিঠে জখম করে মাদ্রাসায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন।
শনিবার বিকালে খবর পেয়ে তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে দেখতে পান ছেলে কান্নাকাটি করছে। এ সময় তার কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের নির্যাতনের চিহ্ন দেখে দ্রুত স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ সায়েম জানান, মাদ্রাসায় শুক্রবার রাতে না আসা ও পরদিন বিলম্বে মাদ্রাসায় আসায় আমি রাগের মাথায় তাকে কিছুটা বেশি শাসন করেছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, মাদ্রাসাছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।