সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে হাতাহাতির এক পর্যায়ে গ্রামের সম্পর্কে ভাতিজা কিবরিয়ার আঘাতে মারা গেছেন চাচা রহমত আলী (৫৫)।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীর নগর গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর কিবরিয়া (৩৫) ও তার ছোট ভাই হোসাইনকে (৩০) আটক করেন গ্রামবাসী।
নিহত রহমত আলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের ফজুর রহমানের ছেলে। আর অভিযুক্ত কিবরিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা মগুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রহমত আলীর সাথে গ্রাম সম্পর্কে ভাতিজা কিবরিয়ার সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে বন (উজাউরি বন) কাটা নিয়ে রহমত আলী নিজ বাড়ির পাশের বাসিন্দা কিবরিয়াকে নিষেধ দিলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে রহতম আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সাথে সাথে স্থানীয় এলাকাবাসী রহতম আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই আলী মর্তুজা জানান, গ্রাম সম্পর্কে কিবরিয়া রহতম আলীর ভাতিজা হয়। বাড়ির সীমানা নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে বিরোধ ছিল। বিচার-শালিস করে সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও সমাধান হয়নি। এর জের ধরে আজ এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, রহমত আলী হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা গেছেন। কী কারণে তিনি মারা গেছেন তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বলতে পারব।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।