সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নামক অবহিতকরণ সভা করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স রুমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনপদগুলোর ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উপদেষ্টা ড. সামিয়া এ সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কলে যুক্ত হন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
জানা গেছে, একটি জনমুখী এবং উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৩ সালে সাজেদা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ৩২টি জেলা ও ১৮৬টি উপজেলায় দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য, হাসপাতাল সেবা, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন এবং বিবিধ সামাজিক উদ্যোগ সরকারের সহযোগী হিসেবে নানামূখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অনুষ্ঠানে ড. সামিয়া এ সেলিম জানান, সাজিদা ফাউন্ডেশনের জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি জেলার মোট ৯টি উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসমষ্টিকে জলবায়ু সহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তোলা। একটি টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে এই অভিযোজনমূলক প্রক্রিয়াটির গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা। যে পাঁচটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তা হলো- জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের সুপেয় পানি সংকটের সমাধান, জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও দুর্যোগ সাড়াদানের কৌশল উন্নয়ন।
তিনি আরও জানান, আজকের সভার মধ্য দিয়ে সাজেদা ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা, উপজেলা পরিষদের মহিলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন শাহ, এম এ রাজ্জাক, আবির হাসান-মানিক, সৈকত হাসানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।