আবারও নুরকে পেটালো ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নূর ও তার সহযোগীদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার বিকালে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল হত্যার বিচার এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আটকের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় নূরের দল। অন্যদিকে একই সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিকাল চারটা থেকেই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। একই সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এরপর বিকাল সাড়ে চারটার সময় নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৌঁছালে সেখানে তাদের পথ আটকান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় নুরুল হক নুরসহ ১০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নুরুলদের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির (শয়ন) ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলায় নেতৃত্ব দেন এই দুই নেতার অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করে। একসময় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়, তারা আমাদের মারতে মারতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট পর্যন্ত নিয়ে আসে। এতে আমাদের প্রায় ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমি গণমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি সাধারণ শিক্ষাথীরা ছাত্র অধিকার পরিষদের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করেছে। এই জায়গায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’