স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার দীর্ঘ সময় ঢাকায় পূর্ণাঙ্গ মিশন খোলার ঘোষণা দিতে পারে সিঙ্গাপুর। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক। কিন্তু তারা এখনও হাইকমিশন করেনি, কনস্যুলেট দিয়ে সব কাজকর্ম চালাচ্ছে।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ১৯৭৩ সালে দেশটির সঙ্গে একটি বাণিজ্য কমিশন করে বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে দশ বছর পর একজন আবাসিক হাইকমিশনারের নেতৃত্বে দেশটিতে ১৯৮৩ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মিশন খোলে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় কনস্যুলেট অফিস খোলে সিঙ্গাপুর। দেশটি সম্পর্কের ৫১ বছরেরও ঢাকায় পূর্ণাঙ্গ হাইকমিশনে যেতে পারেনি।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন। ওই বৈঠকে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় দেশটির কনস্যুলেটকে পূর্ণাঙ্গ মিশনে উন্নীত করার ঘোষণা দেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আট বছর বিরতির পর গত মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় যৌথ পরামর্শক সভা (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়া দেশটির আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি লিউক গো ঢাকায় সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ওই সময় সিদ্ধান্ত হয় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে বাংলাদেশের এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। তখন সিঙ্গাপুরের দিক থেকে ঢাকায় কনস্যুলেট থেকে হাইকমিশন করার ঘোষণা দেয়া হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে কয়েক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। এদের মধ্যে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রয়েছেন। ওই বৈঠকে কিছু ডেভলপমেন্টের সম্ভবনা আছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। তারা যদি ঢাকায় হাইকমিশন করে এটা তো আমাদের জন্য সুখবর। যখন হবে তখন আপনারা জানতে পারবেন।
সূত্র : রাইজিং বিডি