কুইন্টন ডি কক, হেনরি ক্লেসেন ও এইডেন মার্করামের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩৮২ রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই প্রোটিয়াদের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
এর আগে ২০১৭ সালে ইস্ট লন্ডনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩৬৯ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এটাই বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য বলা চলে। কারণ এরপরই ক্রিজে একরকম তান্ডব চালান কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক মার্করাম। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ১৩৭ বলে ১৩১ রানের জুটি। ৬৯ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মার্করাম।
এরপর চতুর্থ উইকেটে হেনরি ক্লেসের সঙ্গে আরও ভয়ংকর রূপে দেখা দেন ডি কক। এই জুটিতে তারা মাত্র ৮৭ বল মোকাবেলা করে ১৪২ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৪৫.১ ওভারে দলীয় ৩০৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ডি কক। তার আগে চলতি বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান। বিশ্বকাপের এক আসরে তিন বা তাঁর বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে সৌরভ গাঙ্গুলি, রোহিত শর্মা, কুমার সাঙ্গাকারাদের সাথে নাম লেখান ডি কক। হাসান মাহমুদের শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৫টি চার আর ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ডি কক।
ডি কক আউট হওয়ার পর ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন হেনরি ক্লেসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২৫ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন হেনরি ক্লেসেন। নার্ভাস নাইনটিতে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে দুটি চার আর ৯টি ছক্কার সাহায্যে খেলেন ৯০ রানের ঝলমলে ইনিংস।
ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ডেভিড মিলার ১৫ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ৫ উইকেটে ৩৮২ রানে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৯ ওভারে ৭৬ রান খরচ করে কোনো উইকেট পাননি মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ ওভারে ৭৬ রানে ১ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। মাত্র ৬ ওভারে ৬৭ রানে ২ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৯ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫ ওভারে ২৭ রানে কোনো উইকেট পাননি নাসুম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ওভারে ২০ রানে কোনো সাফল্য পাননি।