অতি বৃষ্টিতে ঝুঁকিতে পড়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ডাকবাংলো সেতু ও একই নদীতে হেলিপ্যাড এলাকায় স্থাপিত বিকল্প সেতু। যে কোনো সময় ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
সেতু দুটি পারাপারের মাধ্যমে জগন্নাথপুরবাসী জগন্নাথপুর পৌরসভা, জগন্নাথপুর বাজার ও উপজেলা পরিষদে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও জগন্নাথপুর-সিলেট ও জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জগামী পরিবহন সেতু দিয়ে যাতায়াত করে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র উপজেলা কার্যালয় থেকে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদের ওপর ডাকবাংলো সেতুটি এলাকার লোকজন দুই টাকা করে চাঁদা তুলে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে এলজিইডর মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরু এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। অপরদিকে নলজুর নদের গুদামের পাশে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ১৯৮৬ সালে নির্মিত সেতুটি গত ২৬ মার্চ ভেঙে নতুন আর্চ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলে সেতুর পাশে বিকল্প একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ২০২১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে নলজুর নদ খননকালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মার্চ এলজিইডি ষ্টীলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি আবরও চালু করে। অপরদিকে গুদামের সামনের সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করায় বিকল্প সেতু তৈরি করা হয়। নদীতে পানির আসার সাথে সাথে ইঞ্জিন চালিত নৌকা এসে বিকল্প সেতুর পাশে ভিড় করায় সেতু ও সংযোগ সড়ক ঝুঁকিতে পড়ে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের নেতা রোমানুল হক রুমেন বলেন, নলজুর নদের ওপর চলাচল করতে দুটি সেতুই এখন ঝুঁকিতে আছে। গুদামের নিকটবর্তী হেলিপ্যাড এলাকায় বিকল্প সেতু শুরুতেই টেকসই করে নির্মাণ না করে দায়সারা নির্মাণ করায় বর্ষার শুরুতেই ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরদিকে ডাকবাংলো সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ আটকে সেতুর পিলারকে চাপ দিচ্ছে। ফলে সেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে ।
জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ জানান, নলজুর নদের ওপর ডাকবাংলো সেতুটি এমনিতেই ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে কচুরিপানার স্তুপ সরানোর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আলকানা জলকপাট বন্ধ থাকায় কচুরিপানা আটকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, গুদামের সামনে বিকল্প সেতুর পাশে নৌকাঘাট ব্যবহার করলে বিকল্প সেতুর সড়ক ঝুঁকিতে পড়তে পারে অপরদিকে ডাকবাংলো সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ সরানোর জন্য পৌর কতৃপক্ষকে বলা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি। তিনি সেতু দুটি রক্ষায় নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গুদামের সামনের আর্চ সেতুর কাজ বৃষ্টির কারনে আপাতত বন্ধ রয়েছে। আর ডাক বাংলোর সামনে নতুন সেতু নির্মাণ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।