সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানার বিশেষ অভিযানে বালু বোঝাই ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় কসমেটিকস পণ্যের চালান আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় জাফলংয়ের মামার বাজার থেকে ছেড়ে আসা বালুভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রা-ট-২২-৭৫৯২) জৈন্তাপুর বাসস্টেশন এলাকায় আসার পর জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম ও মোস্তাফিজসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সেটিকে ধাওয়া দেন। ধাওয়ার পর কাটাগাং নামক স্থানে ট্রাকটি রেখে এর চালক পালিয়ে যান।
পুলিশ তখন বালুভর্তি ট্রাকটি জব্দ করে এবং ট্রাকচালকের সহকারী (হেলপার) মো. সুজনকে (২৭) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। ট্রাকচালকের সহকারী সুজন সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার কার্তিকপুর গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ। এছাড়া ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) মো. আব্দুল করিম। তিনিসহ থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বালু বোঝাই ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। এ সময় বালুভর্তি ট্রাকে বিশেষ কৌশলে রাখা কয়েক দফায় পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ৩১টি বস্তা পাওয়া যায়। এসব বস্তায় অবৈধ পথে আসা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি কসমেটিকস পণ্য রক্ষিত ছিল। এসব পণ্যের বাজার মূল্য ৮ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) মো. আব্দুল করিম বলেন, জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকাসহ পুরো উপজেলায় মদ, জুয়া, অবৈধ পথে চলা চোরাচালান ব্যবসা বন্ধ করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। গোপন সংবাদ পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সবার উপস্থিতিতে ট্রাক তল্লাশি করে ভারতীয় কসমেটিকস পণ্যের চালান আটক করা হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে মদ-জুয়াসহ ভারতীয় পণ্যের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদ পেয়ে বালুভর্তি ট্রাক তল্লাশি করে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় কসমেটিকস পণ্যের চালান আটক করা হয়েছে। এ সময় ট্রাকের সহকারীকে গ্রেপ্তার এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।