সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাচালানের সময় ১৯৪টি ভারতীয় মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর ছেলে মো. জয় আলীসহ (২৫) দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজিবির জৈন্তাপুরের শ্রীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মকবুল হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করেন।
এর আগে জয় ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ১০০টি মোবাইলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মো. জয় আলী।
মামলায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে মোবাইল ফোন চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে জয় আলী ছাড়াও উপজেলার নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদ উদ্দিনকেও (৩০) আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দুজনকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শ্রীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মকবুল হোসেনসহ বিজিবির সদস্যরা চোরাচালান প্রতিরোধে শ্রীপুর এলাকায় বিশেষ টহল দিচ্ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে গোপন সংবাদ আসে উপজেলার মোকামপুঞ্জি এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি চোরাচালানের মাধ্যমে গাড়িতে ভারতীয় মালামাল নিয়ে জৈন্তাপুরের দিকে যাচ্ছেন। এ সময় টহল দল জৈন্তাপুরের জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুলের সামনে অবস্থান নেন।
এজাহারে দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এলে টহল দল সেটিকে থামার সংকেত দেন। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকসহ ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা সড়কের পাশে সেটিকে রেখে পালিয়ে যান। এ সময় বিজিবির সদস্যরা তাদের পেছনে ধাওয়া দিলেও কাউকে আটক করতে পারেননি। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে পলাতক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম–পরিচয় জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অটোরিকশায় কাপড়ের ব্যাগে রাখা ১৯৪টি ভারতীয় পুরোনো মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মোবাইলফোন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়। জব্দ মালামালগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ লাখ ১৫ হাজার।
এর আগে লিয়াকত আলীর ছেলে জয়সহ তিনজনকে গত বছরের ১৫ এপ্রিল সিলেটের শাহপরাণ থানার পুলিশ ১০০টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ আটক করেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিল।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, বিজিবির মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।