হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ব্যতিক্রমী এক সভা করেছে বন বিভাগ। শনিবার (২১ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের জুড়ীতে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে এই সচেতনতামূলক সভা করা হয় ।
মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার বলেন, জুড়ীতে দুই-তিনদিন আগে বনের একটি হাতি পাথারিয়া হিল রিজার্ভের সমনবাগ বিটের দুর্গাপুরে চলে আসে। হাতিটি এসময় কলাগাছসহ কিছু ফসলের ক্ষতি করে। এতে মানুষ ভীত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অবশ্য তারা বনবিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ প্রেক্ষাপটে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজার ও সিলেট বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। এতে হাতি সংরক্ষণ এবং হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সচেতনামূলক সভায় বক্তব্য দেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার। সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়াল্ডলাইফ রেঞ্জার গোলাম ছারওয়ার, বড়লেখার ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাশ ও বন বিভাগের স্টাফবৃন্দ। সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় জনসাধারণ কথা বলেন।
মির্জা মেহেদী সরোয়ার বলেন, এখন শীতকাল। বনে খাবার কমে আসছে। যে কারণে হাতি লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে চলে আসছে। এছাড়া ওই এলাকায় হাতির চলাচল বহুকাল আগে থেকেই আছে। সাধারণত হাতি যে পথ দিয়ে চলে সেই একই পথ দিয়েই বংশ পরম্পরায় চলাচল করে। এ বিষয়গুলো স্থানীয় মানুষদের বুঝিয়েছি।
তিনি বলেন, হাতি কেন সংরক্ষণ করতে হবে, কেন হাতিকে মারা যাবে না, হাতি আমাদের এবং প্রকৃতির কী উপকার করে সেগুলো বুঝিয়েছি। আমরা স্থানীয় মানুষদের জানিয়েছি হাতিকে বিরক্ত বা আক্রমণ না করতে। হাতি যে ক্ষয়ক্ষতি করবে সে ক্ষতিপূরণ বন বিভাগ প্রদান করবে।