সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার দায়ের করা মামলার আসামীরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারে সদস্য মতিলাল দাস।
গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে পাওনা টাকা নিয়ে খানপুর গ্রামের চন্দন দাসের সাথে স্থানীয় খলিল মিয়া ও হান্নান মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়।
এই বিরোধের জের ধরে রাতে খলিল ও হান্নাসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি চন্দন দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেন।
এ অভিযোগে পরদিন হান্নান ও খলিলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চন্দন দাস।
মামলা আমলে নিয়ে সেদিনই হান্নানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৭ এপ্রিল আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান হান্নান।
চন্দন দাস বলেন, ‘আমার কাকা মতিলাল দাস বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে গরু চড়াতে গেলে সেখানে আসেন হান্নান। তিনি আমার কাকাকে বলেন যে জেল খেটে এসেছি, চন্দন ও তোকে হত্যা করে আবারো জেলে যাবো, হিন্দু বংশ নিমূর্ল করবো।‘
তিনি বলেন, ‘হত্যার হুমকির পর থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এ ঘটনা থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কাকা থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।‘
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আসামী জামিনে বেরিয়ে এসে হুমকি দিচ্ছেন, এ মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।‘