ডলারের পরিবর্তে জাপানি ইয়েনে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কিছু ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা এবং একটি প্রকল্পের জন্য ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ নেওয়া হচ্ছে জাপানি মুদ্রায়।
জানা গেছে, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা ঋণের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৩০ কোটি ডলারের সমতুল্য পরিমাণ ইয়েনে নেওয়া হবে। এ ঋণের সুদহার হবে টোনা প্লাস ভ্যারিয়েবল স্প্রেড, যা বিশ্বব্যাংক প্রতি তিন মাস অন্তর নির্ধারণ করে। চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময়কাল ৩৫ বছর।
সরকার বাকি ২০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের স্কেল–আপ উইন্ডো–শর্টার ম্যাচিউরিটি থেকে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ১২ বছর, যার মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড ছয় বছর।
ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, ডলারে ঋণ নেওয়া হলে সার্বিক সুদের হার হবে প্রায় ৭ শতাংশ। অন্যদিকে, জাপানি মুদ্রায় নেওয়া ঋণের জন্য বাংলাদেশকে অনেক কম সুদ (প্রায় ২ শতাংশ) দিতে হবে। যদি ৩০ কোটি ডলারে নেওয়া হয়, তাহলে এটি সিকিউরড ওভারনাইট ফাইনান্সিং রেটের (সোফর) ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে ভ্যারিয়েবল স্প্রেড যোগ করা হবে। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে সোফর রেট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এমনকি দুই বছর আগেও সোফর ১ শতাংশের কম ছিল। সোফর বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে।
এদিকে, সম্প্রতি চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রকল্পের জন্য পরিকল্পিত সাড়ে ৩০ কোটি ডলারের পরিবর্তে সাড়ে ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। ৬৫ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে জাপানি মুদ্রায় ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ঋণের সুদহার টোকিও ওভারনাইট অ্যাভারেজ রেট প্লাস ভ্যারিয়েবল রেট অনুসারে হবে।