বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ১৪ মিলিয়ন ডলার লুটের প্রমাণ রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিকবার কারাগারে গিয়েছেন। হাসিনার আমলে এসব খবর কেউ প্রকাশ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সুধী সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ রেহানাকে খুশি করতে দেশ-বিদেশে বিলাসবহুল বাসা-গাড়ি উপর দিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের এসব অপকর্মের প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। সময় এলে সব প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, বিএনপি ৩ বার ক্ষমতায় ছিল। তখন কারো বাড়িঘরে বিএনপির কর্মীরা আগুন দেয়নি। বিএনপি সবসময় জনগণের জন্য আন্দোলন করেছে। বিএনপির আন্দোলন ছিল জণগণের ভোটাধিকারা ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, সাম্য ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, জনগণের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন।
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল। আন্দোলনে বিএনপির ছেলে মেয়েরা জীবন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আয়নাঘরের কারিগররা এখন চুপ রয়েছে উল্লেখ করে এম এ মালিক বলেন, আয়নাঘরের কারিগরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
এম এ মালিক বলেন, শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের কথা সবাই জানে। ভারতের সাথে শেখ হাসিনার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। ৫ আগস্টের পর তিনি আবারও প্রমাণ করলেন। গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তবে সেই ফায়দা নিয়ে ভারত যাতে আমাদের ঠকায় না। ভারতকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে ঘন ঘন বন্যার জন্য ভারত দায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এম এ মালিক আরও বলেন, ড. ইউনূসের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সময় দিতে চাই। তার নেতৃত্ব দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই আমরা। তারেক রহমান অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন। বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে।
মতবিনিময় সভায় সিলেটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা জজ কোর্টের নবনিযুক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।