নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিএনপি তা মেনে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাসাসের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হলে কাকে পুরস্কৃত করবে, কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে- তা ঠিক করবে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, নাকি তারেক রহমান, নাকি অন্য কেউ হবে- এটা ঠিক করবে জনগণ। জনগণ যদি আপনাকেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসায় আমরা মেনে নেব।
তিনি বলেন, জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য সংসদ বিলুপ্ত ও সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
বিগত ওয়ান ইলেভেনে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির আষাঢ়ে গল্প প্রকাশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভাড়া বাসায় থাকেন, তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাড়ির ঠিকানা কোথায়? কিন্তু ওয়ান ইলেভেনে কত আষাঢ়ে গল্প প্রকাশ করা হয়েছিল। তা এমনভাবে গণমাধ্যম প্রকাশ করেছিল মানুষও তখন অনেকটা বিশ্বাস করেছিল। আস্তে আস্তে মানুষের মন থেকে তা কেটে গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। সেই তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ডাক দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছিল উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেদিন আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রকে গুম করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেদিন মারা যাইনি। এবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন তারেক রহমান, তার ডাকে সাড়া দিয়ে এবার যুদ্ধে জয়লাভ করেই মরতে চাই।
