সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বাচ্চাদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদ আহমেদের বাচ্চাদের ফুটবল খেলা সময় ঝগড়া বাঁধে। মিলাদ মেম্বার বাচ্চাদের শাসন করছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে কুবাজপুর গ্রামের ঐয়ার মিয়া ও মিলাদ আহমদের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে ঐয়ার মিয়ার পক্ষের লোক দল নিয়ে মিলাদ মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালান। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা, ছুরি, টেঁটা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন- মিলাদ আহমেদ (৩৮), ফারহাদ মিয়া (৪৮), ইজ্জদ আলী (৪৫), ইছুব আলী (৩৫), হাসান মিয়া (২২), গোলাপ মিয়া (৩৮), মাজেদা বেগম (২২), খেলা বেগম (৪০), শিলা বেগম (৪৫)-সহ আরও কয়েকজন। এরমধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ইউপি সদস্য মিলাদ আহমেদ বলেন, আমি ছোট বাচ্চাদের ফুটবল খেলার সময় ঝগড়া বাঁধায় তাদের শাসন করেছিলাম। এর জের ধরে ঐয়ার মিয়ার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে ঐয়ার মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি।