সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও গ্রামের পাশে নলজুর নদীর উপর স্ট্রিলের ব্রিজ ভাঙার পর নদী পারাপারে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি নৌকার মাঝিদের রুঢ় আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন যাত্রীরা।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সুনামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে হাইওয়ে রোড হওয়ায় প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ সহ কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নলজুর নদীর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে সার্বক্ষণিক আসা-যাওয়া করতে হয়। যেখানে কোন প্রকার ইজারা ছাড়া যাত্রী প্রতি ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ব্রিজ ভাঙার প্রথম দিন অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত আদায় করা করা হয়েছে বলে অনেকে জানান।
এখলাছুর রহমান, মিজানুর রহমান সহ আরো অনেক যাত্রী জানান, ‘নৌকা ভাড়া তো ৫ টাকা রাখলে চলতো। আমরা রানীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে খেওয়া ঘাটে ৫টাকা ভাড়া দিয়ে আসছি। মোটর সাইকেল ২০ টাকা রাখলে চলতো কিন্তু এখানে ১০০শত টাকা রাখা হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় সর্বক্ষেত্রে ভাড়া কমিয়ে রাখা হলেও এখানে নৌকার মাঝিরা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। নৌকা ভাড়া কমানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নৌকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে শুনেছি। আনঅফিশিয়ালি আমাকে বলা হয়েছে। যেহেতু তারা ইজারা নেয় নাই। আমি বিষয়টা দেখছি।’