সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নে ৪র্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত জয়নুল মিয়া (৪০) শ্রীরামিসী চাঁদবোয়ালীয়া গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র।
গত বুধবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় উপজেলার শ্রীরামিসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে জয়নুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, শিশুটি সকাল ১১টায় বাড়ির পূর্বপাশের পুকুরপাড় দিয়ে যাওয়ার পথে জয়নুল মিয়া তাকে ডাক দিয়ে পুকুরঘাটে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ধর্ষণকারী ব্যক্তি ভিকটিম শিশুর বাবাকে থানায় মামলা না করতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা জানান, তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। গত বুধবার নানা বাড়ি যাওয়ার পথে বাড়িপূর্ব পাশে পুকুরঘাটে জয়নুল মিয়া তাঁর মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে অবুঝ শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় জয়নুল মিয়া। পরে মেয়েটি বাড়ি এসে কান্না করে মাকে ঘটনার বিষয়ে জানায়।
তিনি বলেন, শিশুটির মা অসুস্থ মেয়েকে তাৎক্ষণিক জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
আলাপকালে শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমাকে হুমকি দিচ্ছে মামলা না করার জন্য। যদি মামলা করি আমাকে মেরে ফেলবে।’ তিনি তাঁর অবুঝ সন্তান ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ১টায় পুলিশের জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখে আসেন।
আলাপকালে জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটিকে দেখেছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’