সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বাজারে শুধু বিদেশি ফলই নয়, সব দেশি ফলের দামেও যেন আগুন লেগেছে। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে প্রতিটা ফলের দাম। এ নিয়ে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, দেশের সকল নিত্যপণ্যের দামের সাথে দেশীয় ফলের দাম বাড়ছে হু-হু করে। এতে অনেকেই কিনতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর বাজারে যেসব দেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আছে মিষ্টি বরই। যা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। পেয়ারার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। পেঁপের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আনারসের জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
দেশীয় ফলের মধ্যে সফেদা পাওয়া যাচ্ছে জগন্নাথপুর বাজারে। তুলনামূলক ভারী এই ফলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তরমুজ বিক্রি হচ্চে ৩০০ টাকা পিস। চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দাম বেড়েছে বেলেরও। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা ডজন ছিল সবরি কলার। রোজা উপলক্ষে ডজন প্রতি এই কলার দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ডজন প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে সাগর কলার দামও। খেজুর ৩শত থেকে সর্বোচ্চ ১২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য ফলের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর বাজার, এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেছে, এক সপ্তাহ আগেও ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কমলা রোজার আগের দিন থেকেই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। মানভেদে এই কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরেও। রোজার আগে আপেল বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। রোজার প্রথম দিন থেকে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা। সে হিসাবে ছোট আকারের একেকটি তরমুজের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বেড়েছে ডাবের দামও। আকারভেদে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পিস হিসেবে।
জগন্নাথপুর বাজারের ফল বিক্রেতারা জানান, মোকামে দাম যেহারে দাম বাড়ছে তাতে ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। আমরা খুচরা ক্রেতা। মোকামে দাম বাড়লে আমাদের কাছেও বাড়ে। সবখানেই সিন্ডিকেট বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জগনাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মোবাইল কোট অব্যাহত রয়েছে। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’