হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক প্রতিনিধিদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আরা বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে ২৪ অক্টোবর থেকে একমাস ব্যাপী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সহ বয়স অনুপাতে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সের কিশোরীদের মাঝে এই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। যারা স্কুলে পড়ে না তাদের ক্ষেত্রে বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর অনুপাতে এই বয়সের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করব কেউ যেন টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে।
ডাক্তার শারমিন আরও বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় মোট ১২ হাজার দুই শত ৯২ জন শিক্ষার্থী সহ ৪৭৯ জন প্রতিষ্ঠানের বাহিরে কিশোরীকে টিকাদান করা হবে। এই টিকা অনেক আগ থেকে বাজারে পাওয়া যায়, এটির মূল্য দুই হাজার টাকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় সরকার বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছেন। টিকা নিয়ে সমাজে সচেতনতার অভাব আছে, অনেকেই এটা নিতে চায় না। তাদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে। আমরা আশ্বস্থ করতে চাই যে, এইচপিভি টিকা গ্রহণ করলে কোন প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, এইচপিভি টিকা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে এইচপিভি টিকা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডাক্তার সুব্রত রায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানজিম আলম। এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে সানোয়ার হাসান সুনু, জহিরুল ইসলাম লাল,গোবিন্দ দেব, শাহ এস এম ফরিদ, রিয়াজ আহমেদ, গোলাম সারোয়ার, আমিনুল হক শিপন, আমিনুর রহমান জিলু, হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া আহমেদ, আলী হোসেন খাঁন, আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আল আমিন, রেজুয়ান আহমেদসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।