সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ ও সৈয়দ আবুল কাশেম।
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য ৯ জনের নাম প্রস্তাব আসে।
এরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাস্টার, সাবেক সহ- সভাপতি হারুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিনা আনোয়ার।
এই ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাদের নাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন- আকমল হোসেন, নুরুল ইসলাম, রেজাউল করিম রিজু, হারুন রশীদ, মিন্টু রঞ্জন ধর।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধিত সভার নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে ছাত্রলীগ, যুবলীগের উপস্থিতিতে সভা করা হয় যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জগন্নাথপুর আওয়ামী লীগের অনেকেই নেতা বলেন, দলের তৃণমূল নেতাদের কথা না শুনে একতরফা ভাবে কেন্দ্রে নাম পাঠানো হচ্ছে। এটা কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না। তা হলে লোক দেখানো সভা কোন করা হল। যারা নাম পাঠাচ্ছেন তা হলে তো তারা সভা না করেই নাম পাঠিয়ে দিতে পারতেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন বলেন, বর্ধিত সভায় ৯ জনের নাম প্রস্তাব আসলেও ৫ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনি হবেন দলের চূড়ান্ত প্রার্থী।